SSC হিসাব বিজ্ঞান গুরুত্বপূর্ণ সূত্র সমূহ | Accounting Important rules

লেনদেন সংক্রান্ত সূত্রাবলি:
১. হিসাব সমীকরণ: A (সম্পদ) = L (দায়) + E (মালিকানা স্বত্ব)
২. হিসাব সমীকরণের বর্ধিত রূপ: A = L + (C + R - Ex - D) এখানে,
A = Assets (সম্পদ)
L = Liabilities (দায়)
C = Capital (মূলধন)
R = Revenue (আয়)
Ex = Expenses (খরচ)
D = Drawings (উত্তোলন)
৩. মালিকানা স্বত্ব = প্রারম্ভিক মূলধন + আয়সমূহ – ব্যয়সমূহ - উত্তোলন
৪. দায় E = মোট সম্পদ A- মোট মালিকানা স্বত্ব E
৫. মালিকের দাবি: E = A - L
দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি সংক্রান্ত সূত্রাবলি:
১. সুবিধা গ্রহীতা = ডেবিট
২. সুবিধা দাতা = ক্রেডিট
৩. মোট ডেবিট টাকা = মোট ক্রেডিট টাকা
একতরফা দাখিলা পদ্ধতি সংক্রান্ত সূত্রাবলি:
১. প্রারম্ভিক মূলধন = প্রারম্ভিক মোট সম্পদ – প্রারম্ভিক মোট দায়
২. সমাপনী মূলধন = সমাপনী মোট সম্পদ - সমাপনী মোট দায়
৩. লাভ/ক্ষতি = {(সমাপনী মূলধন + উত্তোলন) – (প্রারম্ভিক মূলধন + অতিরিক্ত মূলধন)}
মূলধন ও মুনাফা জাতীয় লেনদেন সংক্রান্ত সূত্রাবলি:
১. মূলধন জাতীয় প্রাপ্তি = মূলধন আনয়ন + ঋণ গ্রহণ + স্থায়ী সম্পদ বিক্রয়লব্ধ অর্থ
২. মূলধন জাতীয় আয় = মূলধন জাতীয় প্রাপ্তি - মূলধন জাতীয় ব্যয় (সংশ্লিষ্ট সম্পদের)
৩. মুনাফা জাতীয় প্রাপ্তি = মুনাফা জাতীয় আয় + বিগত ও পরবর্তী বছরের আয়
৪. মুনাফা জাতীয় প্রদান = মুনাফা জাতীয় ব্যয় + বিগত ও পরবর্তী বছরের ব্যয়
৫. মুনাফা জাতীয় আয় = চলতি হিসাবকালের যাবতীয় আয়
৬. মুনাফা জাতীয় ব্যয় = চলতি হিসাবকালের যাবতীয় ব্যয়
৭. মূলধন জাতীয় ব্যয় = স্থায়ী সম্পদ ক্রয় + স্থায়ী সম্পদ ক্রয় সংক্রান্ত খরচ
হিসাব সংক্রান্ত সূত্রাবলি:
১. প্রারম্ভিক মূলধন = মালিক কর্তৃক নগদ টাকা আনয়ন + স্থায়ী সম্পদ আনয়ন + পণ্য দ্রব্য আনয়ন
২. নিট ক্রয় = মোট ক্রয় - ক্রয় ফেরত
৩. নিট বিক্রয় = মোট বিক্রয় - বিক্রয় ফেরত
৪. মোট বিক্রয় = ধারে বিক্রয় মাধ্যমে বিক্রয় + নগদে বিক্রয় + প্রাপ্য বিলের বিক্রয়
জাবেদা সংক্রান্ত সূত্রাবলি:
১. নিট স্থায়ী সম্পদ = মোট স্থায়ী সম্পদ - পুঞ্জীভূত অবচয়
২. চলতি বছরের ভাড়া খরচ = মোট ভাড়া - বকেয়া ভাড়া + অগ্রিম ভাড়া +
৩. প্রদত্ত বাট্টা = দেনাদার - দেনাদার থেকে পূর্ণ নিষ্পত্তিতে প্রাপ্তি
৪. প্রদত্ত বাট্টা = পাওনাদার - পাওনাদারকে পূর্ণ নিষ্পত্তিতে পরিশোধ
খতিয়ান সংক্রান্ত সূত্রাবলি:
১. ব্যালেন্স C/D > খতিয়ানের ডেবিট ও ক্রেডিট দিকের পার্থক্য
২. মূল হিসাব (Control Accounts) > দেনাদার হিসাব ও পাওনাদার হিসাব
৩. সহকারি খতিয়ান > প্রতিটি দেনাদার ও প্রতিটি পাওনাদারের স্বতন্ত্র খতিয়ান
নগদান বই সংক্রান্ত সূত্রাবলি:
১. নগদ উদ্বৃত্ত/তহবিল = প্রারম্ভিক নগদ + সকল নগদ প্রাপ্তি - সকল নগদ পরিশোধ
২. ব্যাংক উদ্বৃত্ত = প্রারম্ভিক উদ্বৃত্ত + যাবতীয় ব্যাংকে জমা - ব্যাংক কর্তৃক সকল পরিশোধ
৩. ব্যাংক জমাতিরিক্ত = প্রারম্ভিক ব্যাংক জমাতিরিক্ত + ব্যাংক কর্তৃক সকল পরিশোধ - যাবতীয় ব্যাংকে জমা
৪. বিপরীত দাখিলার পরিমাণ = ব্যাংকে জমা + ব্যাংক থেকে উত্তোলন
৫. মোট নগদ বাট্টা = মোট প্রাপ্ত বাট্টা + মোট প্রদত্ত বাট্টা
রেওয়ামিল সংক্রান্ত সূত্রাবলি:
১. যাবতীয় খরচ ও সম্পদ বসবে > রেওয়ামিলের ডেবিট দিকে
২. যাবতীয় আয় ও দায় বসবে > রেওয়ামিলের ক্রেডিট দিকে
৩. সমন্বিত ক্রয় = প্রারম্ভিক মজুদ পণ্য + নিট ক্রয় - সমাপনী মজুদ পণ্য
৪. মুনাফা জাতীয় ব্যয় বিক্রীত পণ্যের ব্যয় অন্যান্য পরোক্ষ খরচ
আর্থিক বিবরণী সংক্রান্ত সূত্রাবলি:
১. নিট বিক্রয় = মোট বিক্রয় অলিখিত বিক্রয় বিক্রয় ফেরত
২. নিট ক্রয় = মোট ক্রয় + অলিখিত ক্রয়- ক্রয় ফেরত - পণ্য উত্তোলন - পণ্য বিতরণ
৩. বিক্রীত পণ্যের ব্যয় = প্রারম্ভিক মজুদ পণ্য + নিট ক্রয় + ক্রয় সংক্রান্ত খরচ – সমাপনী মজুদ পণ্য
৪. মোট মুনাফা = নিট বিক্রয় - বিক্রীত পণ্যের ব্যয়
৫. পরিচালন মুনাফা = মোট মুনাফা - পরিচালন ব্যয়
৬. নিট মুনাফা = পরিচালন মুনাফা + অন্যান্য আয় – অন্যান্য ব্যয়
৭. মোট সম্পদ = মোট স্থায়ী সম্পদ + চলতি সম্পদ + বিনিয়োগ + অলীক সম্পদ
৮. মোট দায় = চলতি দায় + দীর্ঘমেয়াদি দায়
৯. মালিকানা স্বত্ব = প্রারম্ভিক মূলধন + নিট মুনাফা + অতিরিক্ত মূলধন - মোট উত্তোলন + সাধারণ সঞ্চিতি
১০. বিনিয়োজিত মূলধন = মোট সম্পদ - চলতি দায়
১১. নিট মুনাফার হার =( নিট মুনাফা÷নিট বিক্রয়) × ১০০
১২. বিনিয়োজিত মূলধনের ওপর মুনাফার হার = (নিট মুনাফা ÷ বিনিয়োজিত মূলধন )× ১০০
১৩. চলতি অনুপাত = চলতি সম্পত্তি ÷ চলতি দায়
১৪. তারল্য অনুপাত = {চলতি সম্পত্তি – (মজুদ পণ্য + অগ্রিম খরচ)} ÷ চলতি দায়
পণ্যের ক্রয়মূল্য, উৎপাদন ব্যয় ও বিক্রয়মূল্য সংক্রান্ত সূত্রাবলি:
১. মোট ক্রয়মূল্য = ক্রয় + অন্যান্য প্রত্যক্ষ খরচ
২. ক্রীত পণ্যের মোট ব্যয় = মোট ক্রয়মূল্য + পরোক্ষ খরচসমূহ
৩. বিক্রয়মূল্য = মোট ব্যয় + প্রত্যাশিত মুনাফা
৪. ব্যবহৃত কাঁচামাল ব্যয় = কাঁচামালের প্রারম্ভিক মজুদ + কাঁচামালের ক্রয়মূল্য (কাঁচামাল ক্রয় + ক্রয় পরিবহন – কাঁচামাল ফেরত) – কাঁচামালের সমাপনী মজুদ
৫. মুখ্য ব্যয় = প্রত্যক্ষ কাঁচামাল + প্রত্যক্ষ শ্রম + প্রত্যক্ষ খরচ
৬. উৎপাদন ব্যয় = মুখ্য ব্যয় + কারখানা উপরিব্যয়
৭. রূপান্তর ব্যয় = প্রত্যক্ষ শ্রম + কারখানা উপরিব্যয়
৮. উৎপাদিত পণ্যের ব্যয় = উৎপাদন ব্যয় + প্রারম্ভিক চলতি কার্যের মজুদ – সমাপনী চলতি কার্যের মজুদ
৯. বিক্রীত পণ্যের ব্যয় = উৎপাদিত পণ্যের ব্যয় + প্রারম্ভিক তৈরি দ্রব্যের মজুদ – সমাপনী তৈরি দ্রব্যের মজুদ
১০. পরিচালন ব্যয় = প্রশাসনিক উপরিব্যয় + বিক্রয় উপরিব্যয়
১১. মোট ব্যয় = উৎপাদন ব্যয় + প্রশাসনিক উপরিব্যয় + বিক্রয় উপরিব্যয়
পারিবারিক হিসাব ব্যবস্থা সংক্রান্ত সূত্রাবলি:
১. প্রারম্ভিক পারিবারিক তহবিল = প্রারম্ভিক সম্পদ – প্রারম্ভিক দায়
২. সমাপনী হাতে নগদ = প্রারম্ভিক নগদ + নগদ প্রাপ্তিসমূহ - নগদ প্রদানসমূহ
৩. ব্যয়াতিরিক্ত আয় = মোট আয় – মোট ব্যয়
৪. আয়াতিরিক্ত ব্যয় = মোট আয় - মোট ব্যয় (ঋণাত্মক হলে)
৫. সমাপনী পারিবারিক তহবিল = প্রারম্ভিক পারিবারিক তহবিল + ব্যয়াতিরিক্ত আয়
অথবা, প্রারম্ভিক পারিবারিক তহবিল - আয়াতিরিক্ত ব্যয়
Commerce Clan এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url