HSC হিসাব বিজ্ঞান ২য় গুরুত্বপূর্ণ সূত্র সমূহ | Accounting 2nd Important Rules

অংশীদারি ব্যবসায়ের হিসাব সংক্রান্ত সূত্রাবলি:
১. উত্তোলনের সুদ:প্রত্যেক মাসের শুরুতে উত্তোলন করলে = মাসিক উত্তোলন × সুদের হার × ৬.৫
প্রত্যেক মাসের মাঝামাঝি উত্তোলন করলে = মাসিক উত্তোলন × সুদের হার × ৬
প্রত্যেক মাসের শেষে উত্তোলন করলে = মাসিক উত্তোলন × সুদের হার × ৫.৫
২ মাস অন্তর উত্তোলন = উত্তোলনের পরিমাণ × সুদের হার × ২.৫
৩ মাস পরপর উত্তোলন = উত্তোলনের পরিমাণ × সুদের হার × ১.৫
২. কমিশন চার্জ করার পূর্ববর্তী নিট মুনাফার উপর কমিশন:
সূত্র: প্রাপ্য কমিশন = নিট লাভ × (কমিশনের শতকরা হার /১০০)
৩. কমিশন চার্জ করার পরবর্তী নিট লাভের উপর কমিশন:
সূত্র: প্রাপ্য কমিশন = নিট লাভ × (কমিশনের শতকরা হার / ১০০ + কমিশনের শতকরা হার)
৪. ত্যাগ অনুপাত = পুরাতন অনুপাত - নতুন অনুপাতযৌথ মূলধনী কোম্পানির মূলধন সংক্রান্ত সূত্রাবলি:
১. শেয়ার প্রতি অবহার/অধিহার = প্রতি শেয়ারের অভিহিত মূল্য × শেয়ার প্রতি অবহার/অধিহারের শতকরা হার
২. মোট অবহার/অধিহার = বিলিকৃত শেয়ার × শেয়ার প্রতি অবহার/অধিহার৩. ইস্যুকৃত শেয়ার মূলধন = (অনুমোদিত শেয়ার মূলধন / শেয়ার প্রতি অভিহিত মূল্য) × ইস্যুর হার
৪. ইস্যুকৃত শেয়ার সংখ্যা = শেয়ার প্রতি অভিহিত মূল্য × ইস্যুর হার
৫. দায়-গ্রাহকের কমিশন = ইস্যুকৃত শেয়ার + শেয়ার প্রতি কমিশন
৬. ব্যাংক চার্জ = ইস্যুকৃত শেয়ার × শেয়ার প্রতি ব্যাংক চার্জ
৭. মোট সম্পদ = স্থায়ী সম্পদের বিনিময়ে শেয়ার ইস্যু + প্রাথমিক খরচের বিনিময়ে শেয়ার ইস্যু + জনগণের নিকট শেয়ার ইস্যু
৮. ব্যাংক জমার উদ্বৃত্ত = ব্যাংক হিসাব -
৯. সুনামের পরিমাণ = প্রমোটর, উদ্যোক্তা ও পরিচালকদেরকে প্রদত্ত শেয়ার × শেয়ার প্রতি অভিহিত মূল্য
১০. প্রাথমিক খরচের পরিমাণ = (আইনি পরামর্শের জন্য/অবলেখককে প্রদত্ত শেয়ার) × শেয়ার প্রতি অভিহিত মূল্য
যৌথ মূলধনী কোম্পানির আর্থিক বিবরণী সংক্রান্ত সূত্রাবলি:
অথবা, পরিশোধিত শেয়ার সংখ্যা × শেয়ার প্রতি লভ্যাংশ
আর্থিক বিবরণী বিশ্লেষণ সংক্রান্ত সূত্রাবলি:
ক. তারল্য অনুপাত:
১. চলতি অনুপাত =চলতি সম্পদ / চলতি দায়।খ. লাভ উপার্জন ক্ষমতার অনুপাত:
১. মোট লাভ অনুপাত =মোট লাভ / নিট বিক্রয় × ১০০%গ. সচ্ছলতার অনুপাত:
১. দায়-মালিকানা অনুপাত = মোট বহির্দায় / মালিকানা তহবিল
২. মালিকানা অনুপাত/মালিকানা - মোট সম্পদ অনুপাত = মালিকানা তহবিল / মোট বাস্তব সম্পদ
ঘ. দক্ষতা যাচাই অনুপাত:
১. মজুদ আবর্তন অনুপাত = বিক্রীত পণ্যের ব্যয় / গড় মজুদ পণ্য২. দেনাদার/প্রাপ্য হিসাব আবর্তন অনুপাত: নিট ধারে বিক্রয় / গড় দেনাদার ও গড় প্রাপ্য বিল
৩. গড় আদায় সময় =৩৬৫ দিন / দেনাদার আবর্তন অনুপাত
৪. পাওনাদার/প্রদেয় হিসাব আবর্তন অনুপাত =নিট ধারে ক্রয় / গড় প্রদেয় হিসাব ও গড় প্রদেয় নোট
৫. গড় পরিশোধ সময় = ৩৬৫ দিন / পাওনাদার আবর্তন অনুপাত নিট বিক্রয়
৬. মোট সম্পদের আবর্তন অনুপাত =নিট বিক্রয় / মোট সম্পদ
অনুপাত নির্ণয়ের প্রয়োজনীয় দফাসমূহ গণনা:
১. চলতি সম্পত্তি: নগদ জমা + ব্যাংক জমা + সমাপনী মজুদ পণ্য + অগ্রিম খরচসমূহ + বকেয়া আয়সমূহ + প্রাপ্য হিসাব/দেনাদার + প্রাপ্য বিল + স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগ
২. চলতি দায়: প্রদেয় হিসাব/পাওনাদার + প্রদেয় বিল জমাতিরিক্ত + বকেয়া খরচ + অগ্রিম আয় প্রস্তাবিত লভ্যাংশ + আয়কর সঞ্চিতি + কর্মচারী কল্যাণ তহবিল + স্বল্পমেয়াদি ব্যাংক ঋণ
৩. তরল সম্পদ: চলতি সম্পদ- মজুদ পণ্য - অগ্রিম খরচ৪. তরল দায়: চলতি দায়- ব্যাংক জমাতিরিক্ত
৫. কার্যকরী মূলধন = চলতি সম্পদ - চলতি দায়
৬. বিনিয়োজিত মূলধন = মোট সম্পদ (ভুয়া সম্পদ বাদে) - চলতি দায়
অথবা, = স্থায়ী সম্পদ + চলতি সম্পদ - চলতি দায়
অথবা, = স্থায়ী সম্পদ + কার্যকরী মূলধন
অথবা, = শেয়ার মূলধন + সঞ্চিতি ও উদ্বৃত্ত + দীর্ঘমেয়াদি ঋণ – ভুয়া সম্পদ
অথবা, = মালিকানা তহবিল + দীর্ঘমেয়াদি ঋণ
৭. কর ও সুদ পূর্ব নিট মুনাফা = করপরবর্তী নিট মুনাফা + আয়কর সঞ্চিতি + সুদ
৮. মালিকানা তহবিল = শেয়ার মূলধন + সঞ্চিতি ও উদ্বৃত্ত – ভুয়া সম্পদ
৯. স্থির খরচযুক্ত তহবিল = ঋণপত্র + দীর্ঘমেয়াদি ঋণ + অগ্রাধিকার শেয়ার
১০. বিক্রীত পণ্যের ব্যয় = বিক্রয় – মোট লাভ
অথবা = প্রারম্ভিক মজুদ পণ্য ক্রয় + অন্যান্য ক্রয় সংক্রান্ত প্রত্যক্ষ খরচ – সমাপনী মজুদ পণ্য
১১. গড় মজুদ = (প্রারম্ভিক মজুদ পণ্য + সমাপনী মজুদ পণ্য) / ২
শুধু সমাপনী মজুদ পণ্য দেয়া থাকলে সমাপনী মজুদকেই গড় মজুদ ধরতে হবে।
১২. গড় দেনাদার ও প্রাপ্য বিল = (প্রারম্ভিক দেনাদার + সমাপনী দেনাদার + প্রারম্ভিক প্রাপ্য বিল + সমাপনী প্রাপ্য বিল) / ২
১৩. মোট বাস্তব সম্পদ = মোট সম্পদ - ভুয়া সম্পদ
১৪. মোট লাভ = বিক্রয়-বিক্রীত পণ্যের ব্যয়
উৎপাদন ব্যয় হিসাব সংক্রান্ত সূত্রাবলি:
১. ব্যবহৃত কাঁচামাল ব্যয় = প্রারম্ভিক কাঁচামাল মজুদ + কাঁচামাল ক্রয় - সমাপনী কাঁচামাল মজুদ
২. মুখ্য ব্যয় = প্রত্যক্ষ কাঁচামাল + প্রত্যক্ষ মজুরি + অন্যান্য প্রত্যক্ষ খরচ
৩. উৎপাদন ব্যয় = মুখ্য ব্যয় + কারখানা উপরিব্যয়
৪. রূপান্তর ব্যয় = প্রত্যক্ষ শ্রম + কারখানা উপরিব্যয়
৫. মোট ব্যয় = উৎপাদন ব্যয় + প্রশাসনিক ব্যয় ও বণ্টন উপরিব্যয়
৬. বিক্রয়মূল্য = মোট ব্যয় + মুনাফা
৭. মোট উপরিব্যয় = কারখানা উপরিব্যয় + প্রশাসনিক উপরিব্যয় + বিক্রয় ও বণ্টন উপরিব্যয়
৮. উৎপাদিত পণ্যের ব্যয় = উৎপাদন ব্যয় + চলতি কার্যের প্রারম্ভিক মজুদ - চলতি কার্যের সমাপনী মজুদ
৯. বিক্রীত পণ্যের ব্যয় = তৈরি পণ্যের প্রারম্ভিক মজুদ + উৎপাদিত পণ্যের ব্যয় - তৈরি পণ্যের সমাপনী মজুদ১০. বিক্রীত একক = প্রারম্ভিক একক + উৎপাদিত একক - সমাপনী একক
১১. উৎপাদিত একক = বিক্রীত একক + সমাপনী একক - প্রারম্ভিক একক
১২. সমাপনী একক = প্রারম্ভিক একক + উৎপাদিত একক - বিক্রীত একক
১৩. সমাপনী মজুদের মূল্য = সমাপনী মজুদ পণ্যের সংখ্যা × একক প্রতি উৎপাদন ব্যয়
১৪. সমাপনী মজুদ পণ্যের মূল্য = (উৎপাদন ব্যয়/উৎপাদিত পণ্যের ব্যয়) / উৎপাদিত একক × সমাপনী মজুদ একক
১৫. প্রত্যক্ষ মজুরির ওপর কারখানা উপরিব্যয়ের শতকরা হার = কারখানা উপরিব্যয় / প্রত্যক্ষ মজুরি × ১০০
১৬. উৎপাদন ব্যয়ের ওপর প্রশাসনিক উপরিব্যয়ের শতকরা হার = প্রশাসনিক উপরিব্যয় / উৎপাদন ব্যয় × ১০০
১৭. উৎপাদন ব্যয়ের ওপর বিক্রয় ও বণ্টন উপরিব্যয়ের শতকরা হার = বিক্রয় ও বণ্টন উপরিব্যয় / উৎপাদন ব্যয় × ১০০
মজুদ পণ্যের হিসাব সংক্রান্ত সূত্রাবলি:
১. নিট ক্রয় একক = মোট ক্রয়কৃত একক - মোট ফেরত প্রদান
২. বিক্রয়যোগ্য পণ্যের একক = প্রারম্ভিক মজুদ একক + নিট ক্রয় একক
৩. সমাপনী মজুদ একক = (প্রারম্ভিক মজুদ একক + নিট ক্রয় একক - ইস্যুকৃত একক)
৪. ঘাটতি একক = (প্রারম্ভিক মজুদ একক + নিট ক্রয় একক) - (ইস্যু একক + সমাপনী মজুদ একক)
৫. মোট ক্রয় = (বিক্রীত পণ্য + সমাপনী মজুদ পণ্য - প্রারম্ভিক মজুদ পণ্য)
৬. ভারযুক্ত গড় পদ্ধতি = পণ্যের মোট মূল্য / মোট পণ্যের পরিমাণ
Commerce Clan এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url