অর্থায়ন ও ব্যবসায় অর্থায়ন | Finance and Bussiness Finance

অর্থায়ন কি? অর্থায়ন কাকে বলে? অর্থায়ন কয় প্রকার ও কি কি? কোন অর্থায়নের কি উদ্দেশ্য? অর্থায়নের কাজ কয়টি ও কি কি? অর্থায়নের নীতি কয়টি ও কি কি? অর্থায়নের ইতিহাস ও ক্রমান্নয়নের ধারা? অর্থায়নের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা কি?

অর্থায়ন কি?

অর্থায়ন হল তহবিল বা মূলধন ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রক্রিয়া।

অর্থায়ন কাকে বলে?

কোন উৎস হতে তহবিল বা টাকা সংগ্রহ করে কোন প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে অধিক মুনাফা অর্জন করা যাবে এই সংক্রান্ত প্রক্রিয়াকে অর্থায়ন বলে।

অর্থায়ন কয় প্রকার ও কি কি?

অর্থায়ন ছয় প্রকার। যথা:

১. পারিবারিক অর্থায়ন
২. সরকারি অর্থায়ন
৩. অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের অর্থায়ন
৪. আন্তর্জাতিক অর্থায়ন
৫. ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়ন
৬. ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের অর্থায়ন

কোন অর্থায়নের কি উদ্দেশ্য?

১. পারিবারিক অর্থায়নের উদ্দেশ্য: পরিবারের সদস্যদের সকলের কল্যাণ ও মঙ্গল করা।

২. সরকারি অর্থায়নের উদ্দেশ্য: দেশের জনগণের সেবা বা জনকল্যাণ করা।

৩. অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নের উদ্দেশ্য: অসহায় ও সুবিধা বঞ্চিতদের সেবা বা মানব কল্যাণ করা।

৪. আন্তর্জাতিক অর্থায়নের উদ্দেশ্য: আমদানি-রপ্তানি কাজ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করা ও বাণিজ্য ঘাটতি দুর করা।

৫. ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নের উদ্দেশ্য: সুদের বিনিময়ে জনগণের কাছ থেকে আমানত গ্রহণ ও সুদের বিনিময়ে ঋণ প্রদান।

৬. ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নের উদ্দেশ্য: বৈধ ও হালাল ভাবে মুনাফা অর্জন করা।

অর্থায়নের কাজ কয়টি ও কি কি?

অর্থায়নের কাজ ২ টি। 

১. আয় সিদ্ধান্ত দেয়া: আমরা কোথা থেকে টাকা সংগ্রহ করবো।

২. ব্যয় সিদ্ধান্ত দেয়া: আমাদের টাকা কোথায় বিনিয়োগ করবো।

অর্থায়নের নীতি কয়টি ও কি কি?

অর্থায়নের নীতি ৩ টি।
১. তারল্য বনাম মুনাফা নীতিঃ নগদ অর্থ ও তারল্যের মাঝে বিপরীত সম্পর্ক। নগদ টাকা বেশি থাকলে মুনাফা কমে যায়। অন্যদিকে বেশি মুনাফার জন্য সম্পূর্ণ অর্থ বিনিয়োগ করলে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার টাকার অভাব হয়। এ অবস্থায় নগদ টাকা জমা ও মুনাফা অর্জনের ভারসাম্য বজায় রাখার যে নীতি অনুসরণ করা হয় তাকে তারল্য বনাম মুনাফা নীতি বলে।
২. উপজুক্ততার নীতিঃ স্বল্পমেয়াদি তহবিল দিয়ে চলতি মূলধন ও দীর্ঘমেয়াদি তহবিল দিয়ে স্থায়ী মূলধন সরবরাহ করার  নীতিকেই উপযুক্ততার নীতি বলে।
 
৩. পোর্টফোলিও বা বৈচিত্রায়ন ও ঝুঁকি বণ্টন নীতিঃ 

অর্থায়নের ইতিহাস ও ক্রমান্নয়নের ধারা 

১৯২০ এর পূর্ববর্তী দর্শক: ১৯২০ এর পূর্ববর্তী দর্শক অর্থাৎ ১৮৯০ থেকে ১৯১০ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদনকারী ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো বড় বড় কোম্পানির সাথে একত্রিত হওয়ার লক্ষ্য করা যায় এর উদ্দেশ্য ছিল উৎপাদনের স্থায়ী খরচ কমিয়ে বাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করা তখন কোন কোন কোম্পানির সাথে যুক্ত হতে পারলে নিজেদের লাভ হবে এবং এ সকল বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেয়া ছিল আর্থিক ব্যবস্থাপকদের কাজ। 

১৯২০ এর দশক: যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো একত্রিত হয়।

১৯৩০ এর দশক: যুক্তরাষ্ট্রের চরম অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হয়,এক হওয়া কোম্পানিগুলো দেউলিয়া হয়।

১৯৪০ এর দশক: নগদ প্রবাহের বাজেট করে তারল্য সংরক্ষণ করা শুরু হয়।

১৯৫০ এর দশক: মুনাফা সর্বোচ্চ করন করা শুরু হয়।

১৯৬০ এর দশক: সম্পদ সর্বোচ্চ করনে গুরুত্ব আরোপ করা হয় 

১৯৭০ এর দশক: অর্থায়ন কাজ কম্পিউটার দিয়ে করা হয় শুরু হয়।

১৯৮০ দশক: অর্থায়ন আধুনিক রূপ নেয়া শুরু হয়।

১৯৯০ এর দশক: বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা World Trade Organisation (WTO) আত্মপ্রকাশ করে।

গুরুত্বপূর্ণ Abbreviation 

WTO world trade organisation

Bcic Bangladesh chemical industries corporation 

ADB Asian development Bank 

IDB Islamic development Bank 

PPP public private partnership 

প্রথম অধ্যায়ের অন্যান্য জ্ঞান মূলক প্রশ্ন/সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

১. বাণিজ্য ঘাটতি কি?

বাণিজ্য ঘাটতি: রপ্তানি থেকে আমদানি বেশি হলে বৈদেশিক মুদ্রার যে ঘাটতি সৃষ্টি হয় তাকে বাণিজ্য ঘাটতি বলে।

২. চলতি বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত কি?


৩. সঞ্চয় কি?

সঞ্চয়: আয় থেকে ব্যয় কমিয়ে যে অংশ ভবিষ্যতের জন্যে জমা করা হয় তাকে সঞ্চয় বলে।

৪. চলতি মূলধন কি?

চলতি মূলধন: একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান চালিয়ে রাখার জন্য যে নিত্যনৈমিত্তিক অর্থের প্রয়োজন হয়, সেটিই চলতি মূলধন; যেমন: কাঁচামাল ক্রয়, শ্রমিকের মজুরি প্রদান ইত্যাদি। চলতি মূলধনের পরিমাণ কম হয় বলে এটি স্বল্পমেয়াদি উৎস হতে সংগ্রহ করা ভালো। বিক্রয়লব্ধ অর্থ দিয়ে চলতি মূলধন ব্যবস্থাপনা করা উচিত। 

৫. দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কি?

দীর্ঘমেয়াদি মূলধন: মেশিন ক্রয়, ব্যবসায়ের দালানকোঠা নির্মাণ ইত্যাদির জন্য প্রয়োজন মূলধন। বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিভিন্ন অর্থায়ন প্রতিষ্ঠান, বিনিয়োগ ব্যাংক, ডিবেঞ্চারহোল্ডার, এই ধরনের উৎসগুলো দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রদান করে থাকে। পক্ষান্তরে  দীর্ঘমেয়াদি উৎস থেকে তহবিল সংগ্রহের জন্য ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অধিক হারে সুদ প্রদান করতে হয়।

অর্থায়নের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা কি?


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Commerce Clan এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url