হিসাবের পদ্ধতি
হিসাব রাখার পদ্ধতি ২টি।
১. একতরফা দাখিলা পদ্ধতি:
একতরফা দাখিলা একটি অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে লেনদেন সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করা হয় না। যে সকল প্রতিষ্ঠান আয়তনের ছোট ও কম লেনদেন হয় সে সকল প্রতিষ্ঠানে একতরফা দাখিলা পদ্ধতি অনুযায়ী হিসাব রাখা হয়।
একতরফা পদ্ধতিতে সকল হিসাব লিখা হয় না। এই পদ্ধতিতে আয় ব্যয় এর হিসাব সংরক্ষণ করা হয় না। প্রারম্ভিক মূলধন ও সমাপনী মূলধন এর পার্থক্য দ্বারা লাভ ক্ষতি নির্ণয় করা হয়। ফলে সঠিক আর্থিক ফলাফল ও আর্থিক অবস্থা জানা সম্ভব হয় না।
২. দূতরফা দাখিলা পদ্ধতি:
দুতরফা দাখিলা হিসাব রাখার বিজ্ঞান ভিত্তিক পদ্ধতি। ১৪৯৪ খ্রিস্টাব্দে ইতালির প্রসিদ্ধ গণিতবিদ লুকা পাসিওলি দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিটি উদ্ভাবন করেন। এই পদ্ধতিতে প্রতিটি লেনদেন দুইটি হিসাবের মাধ্যমে ডেবিট ও ক্রেডিট করে লেখা হয়। প্রতিটি ডেবিট টাকার জন্য সমান টাকা ক্রেডিট লিখতে হয়। ফলে দ্রুত সহজেই হিসাবের নির্ভুলতা যাচাই করা যায়।
দুতরফা পদ্ধতিতে সকল হিসাব সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয়। ফলে আর্থিক ফলাফল ও আর্থিক অবস্থার বিবরণী সঠিক ভাবে জানা যায়।