লেনদেন || Transaction
লেনদেন কিঃ
হিসাবের মূল বা মৌলিক উপাদান লেনদেন । লেনদেন অর্থ নেয়া-দেয়া / গ্রহণ-দান / আদান-প্রদান / নেওয়া-দেওয়া ।
সাধারণ অর্থে কোনো কিছু দেওয়া বা নেওয়াই হলো লেনদেন তবে ব্যবসায়ের দৃষ্টিতে অর্থের মাপকাঠিতে পরিমাপযোগ্য কোনো ঘটনার মাধ্যমে কারবার/ব্যবসায়ের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটলে ঐ ঘটনাকে লেনদেন বলে।
হিসাববিজ্ঞানের ভাষায় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে অর্থের বিনিময়ে কোনো পণ্য বা সেবা আদান-প্রদান কে লেনদেন বলা হয়। যার ইংরেজী প্রতিশব্দ হলো “Transaction”। ভোক্তারা টাকা দিয়ে পণ্য বা সেবা নেন এবং ব্যবসায়ীরা সেবা বা পণ্য দিয়ে টাকা নেন।
লেনদেনের উৎসঃ
লেনদেনের পক্ষ সমুহঃ
লেনদেনের বৈশিষ্ট্যঃ
(১)আর্থিক অবস্থার পরিবর্তনঃ
ক. পরিমাণগত বা নিট পরিবর্তনঃ
ধারে আসবাবপত্র ক্রয় ৪০০০ টাকা । এখানে ধারে আসবাবপত্র ক্রয়ের ফলে আসবাবপত্র (সম্পদ) বৃদ্ধি এবং প্রদেয় (দায়) বৃদ্ধি পেয়েছে । অর্থাৎ সমান(=) এর উভয় পাশে পরিবর্তন ঘটেছে। যখন কোনো লেনদেন হিসাব সমীকরণ (সম্পদ=দায়+মালিকানাস্বত্ত্ব) এর সমান(=) এর উভয় পাশে পরিবর্তন ঘটায় তখন তাকে পরিমাণগত বা নিট পরিবর্তন বলে। যেমনঃখ. কাঠামোগত বা গুনগত পরিবর্তনঃ
নগদে আসবাবপত্র ক্রয় ৫০০০ টাকা । এখানে নগদে আসবাবপত্র ক্রয়ের ফলে আসবাবপত্র (সম্পদ) বৃদ্ধি এবং নগদ টাকা (সম্পদ) হ্রাস পেয়েছে । অর্থাৎ সমান(=) এর এক পাশে পরিবর্তন ঘটেছে। যখন কোনো লেনদেন হিসাব সমীকরণ ( সম্পদ=দায়+মালিকানাস্বত্ত্ব ) এর সমান(=) এর শুধু মাত্র এক পাশে পরিবর্তন ঘটায় তখন তাকে কাঠামোগত বা গুনগত পরিবর্তন বলে।(২)অর্থের মাপকাঠিতে পরিমাপযোগ্যঃ
(৩)দ্বৈতসত্তা বা দুটি পক্ষঃ
(৪) স্বয়ংসম্পূর্ণতা ও স্বতন্ত্রতাঃ
(৫) লেনদেনের দৃশ্যমানতাঃ
(৬) ঐতিহাসিক ঘটনাঃ
দেনাদারদের মধ্য থেকে কোন দেনাদার যদি কোন কারনে টাকা না দেয় তখন তার সাথে ঐতিহাসিক (বিবাদ) সম্পর্কের ফলে দেনাদার হ্রাস পায় ফলে এটি একটি লেনদেন হয়।
প্রতিটি লেনদেন হিসাব সমীকরণ (সম্পদ=দায়+মালিকানা স্বত্ব) এ প্রভাব ফেলে। যা ১নং বৈশিষ্ট্যে আলোচনা করা হয়েছে।
লেনদেনের শ্রেণীবিভাগঃ
২. মুনাফা জাতীয় লেনদেন
১) মূলধনজাতীয় লেনদেনঃ
মূলধনজাতীয় লেনদেন এর সাথে স্থায়ী সম্পদ , দীর্ঘমেয়াদি দায় ও মূলধন জড়িত থাকে।
কিছু মূলধনজাতীয় লেনদেনের উদাহরণঃ
আসবাবপত্র ক্রয় ৩০০০০ টাকা।
যন্ত্রপাতি বিক্রয় ২০০০০ টাকা।
নিজ অথবা অন্যের বব্যসায়ে বিনিয়োগ ৪০০০ টাকা।
শেয়ার ক্রয় অথবা বিক্রয় ৬০০০০ টাকা।
ব্যবসায়ের জন্য টিভি , ফ্রিজ ক্রয় ৮০০০০ টাকা।
২)মুনাফাজাতীয় লেনদেনঃ
যেসকল লেনদেনের সুবিধা সাধারণত স্বল্পমেয়াদি হয় এবং কমসময়ের জন্যে ভোগ করা যায় তাকে মুনাফাজাতীয় লেনদেন বলে। মুনাফাজাতীয় লেনদেন সাধারনত কম টাকার হয় ও নিয়মিত হয়।
মুনাফাজাতীয় লেনদেন এর সাথে আয়-ব্যয় ,চলতি সম্পদ , চলতি দায় ও উত্তোলন জড়িত থাকে ।
কিছু মূলধনজাতীয় লেনদেনের উদাহরণঃ
নগদে পণ্য ক্রয় ৪০০০ টাকা।
ধারে পণ্য বিক্রয় ৫০০০ টাকা।
ব্যবসায় হতে উত্তোলন ২০০০০ টাকা।
বেতন প্রদান ৩০০০ টাকা।
কমিশন প্রাপ্তি ৫০০ টাকা।