হিসাব বিজ্ঞান || Accounting
হিসাব বিজ্ঞান কি? হিসাব বিজ্ঞানের অপর নাম কি? হিসাববিজ্ঞান তথ্য ব্যবহারকারী কারা? হিসাববিজ্ঞানের তথ্য ব্যবহারকারীদের কয় ভাগে ভাগ করা হয়? প্রতিষ্ঠানের ভেতরের ব্যবহারকারী কারা? প্রতিষ্ঠানের বাইরের ব্যবহারকারী কয় প্রকার? হিসাব বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য কি? হিসাব বিজ্ঞানের জনক কে? হিসাব বিজ্ঞানের আদি বই কোনটি? আধুনিক হিসাববিজ্ঞানের ইতিহাস কি?
হিসাব বিজ্ঞান কি?
কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় সকল লেনদেন হিসাব বইতে সঠিকভাবে লেখা, সংরক্ষণ ও নির্দিষ্ট সময় পর বিশ্লেষণ করে আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি ও উপস্থাপন করতে পারার জ্ঞানকে হিসাব বিজ্ঞান বলা হয়।হিসাব বিজ্ঞানের অপর নাম কি?
হিসাব বিজ্ঞানের অপর নামগুল হলঃ১. হিসাববিজ্ঞানকে ইংরেজিতে Accounting বা bookkeeping বলা হয়।
ব্যবসায়ের হিসাব সংরক্ষণের জটিল এবং ক্লান্তিকর কাজগুলো দ্রুত, সঠিক ও সহজে প্রস্তুত করাই হিসাব বিজ্ঞানের মূল উদ্দেশ্য।
তিনি ছিলেন একজন ইতালীয় গণিতবিদ ও পাদ্রী । তিনি লেওনার্দো দা ভিঞ্চির বন্ধু ও গণিত শিক্ষক ছিলেন এবং হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তাঁকে “হিসাববিজ্ঞান ও হিসাবরক্ষণের পিতা” নামে ডাকা হয়।
১৪৯৪ খ্রিস্টাব্দে লুকা প্যাসিওলি আধুনিক হিসাব বিজ্ঞানের মূলনীতি “দুতরফা দাখিলা (Double Entry)” পদ্ধতি ব্যাখ্যা করে বইটি লিখেন ।
১৪৯৪ খ্রিষ্টাব্দে লুকা প্যাসিওলি নামে একজন ইতালীয় গণিতবিদ 'সুম্মা ডি এরিথমেটিকা জিওমেট্রিয়া প্রপোরশনিয়েট প্রপোরশনালিটা' নামে একটি গ্রন্থ লিখেন এবং এতে হিসাবরক্ষণের মূল নীতি "দুতরফা দাখিলা " ব্যাখ্যা করা হয়।
সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং ব্যবসায়-বাণিজ্যের অগ্রগতি হয় এবং এরই ফলে হিসাববিজ্ঞানেরও উন্নতি হয়। ব্যবসায় যেমন ছোট থেকে বড় হতে থাকে তেমনি এর পরিধিও বৃদ্ধি পেতে থাকে। বর্তমান কম্পিউটারের যুগে বড় বড় প্রতিষ্ঠানে হিসাবের বই হাতে লিখার পরিবর্তে কম্পিউটারে করা হয়। ফলে সময় ও শ্রম লাঘবের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত দ্রুত গ্রহণ করা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সহজ হয়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে হিসাববিজ্ঞানের উন্নতি বর্তমানে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের পাশাপাশি ব্যবসায়ী, অব্যবসায়ী, সরকারি, বেসরকারি, মুনাফাভোগী ও অমুনাফাভোগী সকল ধরনের প্রতিষ্ঠানে হিসাববিজ্ঞানের ব্যবহার লক্ষ করা যায়।
২. হিসাববিজ্ঞানকে “ব্যবসায়ের ভাষা” বলা হয়।
৩. হিসাববিজ্ঞানকে একটি “তথ্যব্যথা” (Information System) নামেও অভিহিত করা হয়।
হিসাববিজ্ঞানের তথ্য ব্যবহারকারী কয় প্রকার?
প্রতিষ্ঠানের ভেতরের (Internal) ও বাইরের (External) বিভিন্ন ব্যবহারকারীর চাহিদা বিবেচনা করে লেনদেনসমূহ হিসাবের বইতে লেখা হয় ও আর্থিক বিবরণী আকারে প্রকাশ করা হয়। হিসাব বিজ্ঞানের তথ্য ব্যবহারকারীদের ২ ভাগে ভাগ করা হয়। যথাঃ
১. প্রতিষ্ঠানের ভেতরের ব্যবহারকারী কারা?
প্রতিষ্ঠানের ভেতরের ব্যবহারকারীঃ হিসাব কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপক, পরিচালক, অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষক, মালিক।
২. প্রতিষ্ঠানের বাইরের ব্যবহারকারী কারা?
প্রতিষ্ঠানের বাইরের ব্যবহারকারীঃ পাওনাদার,শেয়ার হোল্ডার, বণিক সমিতি, বিনিয়োগকারী, আয়কর কর্তৃপক্ষ ,ভোক্তা।
হিসাব বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য কি?
ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান এর আর্থিক ঘটনা সমূহ যেমন: পণ্য ক্রয়-বিক্রয়, দেনাদার হতে আদায়, পাওনাদারকে পরিশোধ, পণ্য মজুদকরণ, লাভ-ক্ষতি হিসাব, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি ব্যবসায়িক হিসাব সঠিকভাবে সম্পন্ন করাই এর উদ্দেশ্য।ব্যবসায়ের হিসাব সংরক্ষণের জটিল এবং ক্লান্তিকর কাজগুলো দ্রুত, সঠিক ও সহজে প্রস্তুত করাই হিসাব বিজ্ঞানের মূল উদ্দেশ্য।
হিসাব বিজ্ঞানের জনক কে?
হিসাব বিজ্ঞানের জনক ‘’লুকা প্যাসিওলি’’। পুরো নাম “ফ্রা লুকা বার্তোলোমিয়ো দি প্যাসিওলি।”তিনি ছিলেন একজন ইতালীয় গণিতবিদ ও পাদ্রী । তিনি লেওনার্দো দা ভিঞ্চির বন্ধু ও গণিত শিক্ষক ছিলেন এবং হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তাঁকে “হিসাববিজ্ঞান ও হিসাবরক্ষণের পিতা” নামে ডাকা হয়।
হিসাব বিজ্ঞানের আদি বই কোনটি?
‘সুম্মা ডি এরিথমেটিকা জিওমেট্রিয়া প্রপোরশনি য়েট প্রপোরশনালিটা’।১৪৯৪ খ্রিস্টাব্দে লুকা প্যাসিওলি আধুনিক হিসাব বিজ্ঞানের মূলনীতি “দুতরফা দাখিলা (Double Entry)” পদ্ধতি ব্যাখ্যা করে বইটি লিখেন ।
আধুনিক হিসাববিজ্ঞানের ইতিহাস কি?
সভ্যতার সূচনা হতে মানুষ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বা হিসাব গাছের গায়ে, গুহায় বা পাথরে চিহ্ন দিয়ে রাখত ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের প্রাচীন পদ্ধতিতে রাখত। এক সময় মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস শুরু করল এবং কৃষিকাজ আরম্ভ করল। ঘরে দাগ কেটে এবং রশিতে গিঁট দিয়ে ফসল ও মজুদের হিসাব রাখা শিখল। আস্তে আস্তে মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, সমাজ বিস্তার লাভ করে, বিনিময় প্রথা চালু হয়, মুদ্রার প্রচলন হয় এবং ব্যবসায়-বাণিজ্য শুরু হয়। ক্রয়-বিক্রয়, জমা-খরচ, দেনা- পাওনা এবং অন্যান্য লেনদেন হিসাবের বইতে অঙ্কের মাধ্যমে লেখা শুরু হয়।১৪৯৪ খ্রিষ্টাব্দে লুকা প্যাসিওলি নামে একজন ইতালীয় গণিতবিদ 'সুম্মা ডি এরিথমেটিকা জিওমেট্রিয়া প্রপোরশনিয়েট প্রপোরশনালিটা' নামে একটি গ্রন্থ লিখেন এবং এতে হিসাবরক্ষণের মূল নীতি "দুতরফা দাখিলা " ব্যাখ্যা করা হয়।
সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং ব্যবসায়-বাণিজ্যের অগ্রগতি হয় এবং এরই ফলে হিসাববিজ্ঞানেরও উন্নতি হয়। ব্যবসায় যেমন ছোট থেকে বড় হতে থাকে তেমনি এর পরিধিও বৃদ্ধি পেতে থাকে। বর্তমান কম্পিউটারের যুগে বড় বড় প্রতিষ্ঠানে হিসাবের বই হাতে লিখার পরিবর্তে কম্পিউটারে করা হয়। ফলে সময় ও শ্রম লাঘবের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত দ্রুত গ্রহণ করা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সহজ হয়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে হিসাববিজ্ঞানের উন্নতি বর্তমানে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের পাশাপাশি ব্যবসায়ী, অব্যবসায়ী, সরকারি, বেসরকারি, মুনাফাভোগী ও অমুনাফাভোগী সকল ধরনের প্রতিষ্ঠানে হিসাববিজ্ঞানের ব্যবহার লক্ষ করা যায়।
Commerce Clan এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url